মাদরাসগুলোতে লাইব্রেরিয়ান পদে সাধারণ শিক্ষিত বা ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন প্রার্থী নিয়োগের দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা। তাদের মতে, ‘আরবি ভাষা, ইসলামী শরীয়া, কুরআনিক সায়েন্স, ফেকাহ ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক পারদর্শী প্রার্থী ছাড়া মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ হতে পারে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা জানান।বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বাড়তি ২০০ নম্বরের সাধারণ শিক্ষার সবকিছু পড়ালেখা করে। তারা বিসিএস এ নিজ যোগ্যতায় এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি পায়। তবে সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তি আলেম ও ইসলামী স্কলার না হয়ে মাদরাসার বিশেষ পদগুলোতে কোন দিনই সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে না। এ জন্য মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান পদেও কেবল সাধারণ শিক্ষিত কিংবা ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ কিছুতেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। তাই নেতারা এ ধরণের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতারা বলেন, এদেশের মাদরাসাগুলো আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ, বুজুর্গানে দীন, ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের উদ্দেশ্য একটিই- প্রকৃত নায়েবে রাসূল, শরীয়া বিশারদ, ইসলামবিষয়ক বিজ্ঞানী ও ইসলামের সেবক তৈরি করা। এর ব্যতিক্রম হলে মাদরাসার শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। যা কারো কাম্য হতে পারে না। ভারতে যেমন অনেক জায়গায় সরাসরি মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, বাংলাদেশে সরাসরি বন্ধ না করে ভেতর থেকে মাদরাসাকে অন্তঃসারশূন্য করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলেও তারা বিবৃতিতে দাবি করেন নেতারা।শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।