করোনা মহামারীর মধ্যেও যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় কোচিং ক্লাস নেয়া ৩২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত ৪ জুন ‘সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই ক্লাস চলছে ৩২ শিক্ষকের কোচিংয়ে’ শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের কাছে এর ব্যাখ্যা চায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এদের মধ্য ২৯ জন শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোচিং করাবেন না’ বলে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
রোববার (৬ জুন) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত শুক্রবার দৈনিক শিক্ষাডটকমে ৩২ শিক্ষকের কোচিং ক্লাস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকশ হলে উপজেলার প্রশাসনের টনক নড়ে। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৩২ শিক্ষকের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ২৯ জন শিক্ষক লিখিত অঙ্গীকারনামা (মুচলেকা) দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কোচিং বাণিজ্যর সাথে যুক্ত ৩২ জন শিক্ষককে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে ২৯ জন শিক্ষক রোববার বিকেল ৪টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকারনামা জমা দিয়েছেন। দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা দলবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং ক্লাস করাবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। এরপর যদি কেউ কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
জানা গেছে, কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় কেউ কেউ দৈনিক শিক্ষাডটকমের মনিরামপুর প্রতিনিধিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। তবে, অবশেষে আইনিভাবে রক্ষা পেতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা (অঙ্গীকার) দিতে হয়েছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা না মেনে কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকা মণিরামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মুস্তাফিজুর রহমান, গণিত প্রভাষক মশিয়ার রহমান এবং মহিলা কলেজের এক শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হননি বলেও জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ২৯ জন শিক্ষকের লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষমা করা হয়েছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা শিথিল না হওয়া পর্যন্ত যদি আর কেউ কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে।