‘প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে’ - দৈনিকশিক্ষা

‘প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশে কোনো প্রকল্প সাধারণত ঠিক সময়ে শেষ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, প্রকল্পে বিলম্ব ও ব্যয় সমন্বয়ের কারণে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট এশিয়া স্টাডি সেন্টারের আয়োজিত এক যৌথ সেমিনারের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদশের প্রকল্পে বিলম্ব ও বাড়তি খরচ এড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে এ সংক্রান্ত পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া আদান-প্রদানের অনুরোধ জানান।  

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যখন কোনো প্রকল্প শুরু করি, এটা সাধারণত ঠিক সময়ে শেষ হয় না। আমার কাছে অনেক উদাহরণ আছে। প্রকল্প তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও লেগেছে ১০ বছর। আমাদের সব প্রকল্পে বিলম্ব। আর বিলম্ব এবং ব্যয় সমন্বয়ের কারণে সরকারি অর্থ অতিরিক্ত খরচ হয়।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পার্ক চুং-হি ক্ষমতায় আসার আগে দেশটির অবস্থা এমন ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন পার্ক। এরপর তারা কিছু নিয়ম চালু করেছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রকল্প শেষ হওয়ার আগে প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হবেন না। দ্বিতীয়ত, প্রকল্প ঠিক সময়ে বা সময়ের আগে শেষ হলে ওই কর্মকর্তার কৌশলগত পদে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং তিনি প্রণোদনা পাবেন। সবশেষে, প্রকল্প যদি ঠিক সময়ে শেষ না হয়ে বিলম্ব হয়, যে কর্মকর্তা ওই প্রকল্প শেষের কাজে নিয়োজিত, তিনি শাস্তি পাবেন। তাঁর পদাবনতি হবে। এমনকি তাঁকে জেলেও যেতে হবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরীয় বন্ধুদের অনুরোধ জানাই, আমাদের কাছে ওই পন্থা ও প্রক্রিয়া আদান-প্রদান করুন, যাতে প্রকল্পগুলো ও ঠিকাদারি কাজ ঠিক সময়ে শেষ হতে পারে।’

এ সময় আব্দুল মোমেন ব্যবসা পরিচালনার পদ্ধতি সহজ করার বিষয়েও দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চান। তিনি বলেন, ‘খনিজ সম্পদে অতটা সমৃদ্ধ না হলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে তারা (দক্ষিণ কোরিয়া) অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে। ব্যবসা সহজ করার ব্যাপারে উন্নতির স্বার্থে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুদের সহায়তা চাই।’

সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, ‘বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আমাদের আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোকে আমরা নিবিড়ভাবে গ্রহণ করে, এটাকে নতুন নতুন সুযোগে পরিণত করতে পারি।’

কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস - dainik shiksha কাল খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শনিবারও চালু ক্লাস সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় - dainik shiksha ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব - dainik shiksha একই স্কুলের দুই ছাত্রীকে বিয়ের পর আরেক ছাত্রীকে ল্যাব সহকারীর অনৈতিক প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038611888885498