‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ চার্জমুক্ত রাখার নির্দেশ - দৈনিকশিক্ষা

‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ চার্জমুক্ত রাখার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা করা যাবে শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে। এ জন্য ব্যাংকগুলো কোনো ধরনের সেবা মাশুল বা চার্জ নিতে পারবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সম্মানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সহযোগিতায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিমাকারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি)।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমাসংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেন শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এ জন্য কোনো প্রকার সার্ভিস চার্জ বা ফি নেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা ও লেনদেন অব্যাহত রাখার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে।

গত ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবসে পরীক্ষামূলকভাবে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয় বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা। এই বিমা পলিসির প্রিমিয়াম দিতে হবে বছরে ৮৫ টাকা। পলিসির মেয়াদের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে বা শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়লে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর শিশুকে প্রতি মাসেই ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে।

আইডিআরএ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছরের জন্য চালু করা হয়েছে। এই বিমা পলিসির বিমাকৃত ব্যক্তি হবেন মা, বাবা অথবা আইনগত অভিভাবক। পলিসির মেয়াদের মধ্যে মা, বাবা বা আইনগত অভিভাবক মারা গেলে অথবা দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণ বা স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা পঙ্গু হয়ে গেলে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে। এই বৃত্তি দেওয়া হবে পলিসির বাকি মেয়াদে, অর্থাৎ বিমা পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত।

এই বিমা পলিসির মেয়াদ শিশুর বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা বিমা পলিসিটির আওতায় আসবে। শিশুর ১৮তম জন্মদিনে পলিসির মেয়াদ শেষ হবে। শিশুর বয়স ৩ বছর হলে পলিসির মেয়াদ হবে ১৮ থেকে ৩ বছর বাদ দিয়ে ১৫ বছর। আর শিশুর বয়স ১৮ বছর হলে পলিসির মেয়াদ হবে ১৮ থেকে ১৭ বছর বাদ দিয়ে এক বছর।

তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে পলিসি করা মা, বাবা অথবা অভিভাবকদের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬৪ বছর। আর প্রিমিয়ামের টাকা নেওয়া হবে ব্যাংকের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ ও বিমাগ্রহীতার বয়স ৬৪ বছর হয়ে গেলেই পলিসিটি মেয়াদোত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে।

এ-সংক্রান্ত বিমা নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাধারণত শিক্ষার্থীর মা অথবা বাবা হবেন বিমাগ্রহীতা। তবে মা-বাবা জীবিত থাকা অবস্থায়ও তাঁদের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য কেউ অভিভাবক হতে পারবেন। আবার বাবা-মায়ের অবর্তমানে শিক্ষার্থীর ভরণপোষণকারীও হতে পারবেন বিমাগ্রহীতা।

বিমাগ্রহীতা যে মাসে মারা যাবেন, সে মাসের শেষে বৃত্তি দেওয়া শুরু হবে, শিশুর বয়স ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসে মাসে এই বৃত্তি দেওয়া চলতে থাকবে। তবে কেউ যদি দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গু হয়ে যান, তাহলে জেবিসির অনুমোদিত চিকিৎসকের দেওয়া সনদের ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা চালুর জন্য প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা (দশম শ্রেণি পর্যন্ত) বেছে নেওয়া হচ্ছে। এতে ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর মা, বাবা বা অভিভাবক এ বিমার আওতায় আসবেন। আপাতত আইডিআরএর তহবিল থেকে জেবিসিকে প্রিমিয়ামের অর্থ দেওয়া হবে। বিমা দাবি উত্থাপিত হলে তা পরিশোধ করবে জেবিসি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057010650634766