মূলত অনিচ্ছা থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে চান না মালিকপক্ষ। তারা বলে, নিয়োগ দেয়ার জন্য যোগ্য লোক পায় না। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এটা সত্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ এ তিন পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তারা এমন লোক পাঠায়, যা যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যায়। তারপর নিজেদের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চায় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল তিনি বলেন, বোর্ড সদস্য, পরিবারের সদস্যদেরকে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে বসাতে চায়। যোগ্য লোককে দায়িত্ব দিলে বাড়ি, গাড়িসহ বেশি পয়সা দিতে হবে। এতে তাদের মুনাফা কমে যাবে। এ কারণে বাহানা দেয় যোগ্য লোক পায় না।
তার সময়কার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে ড. আবদুল মান্নান বলেন, একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে সমাবর্তন হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যাবেন। কিন্তু ওরা সনদ বিক্রি শুরু করল। তারপর তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় রাষ্ট্রপতি ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাওয়া বাতিল করেন। এখন এসব ঘটনা কাকে বলব? দেশটা ধাপ্পাবাজে ভরে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষাবিদ বলেন, দেশে ১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রেখে বাকিগুলো যদি কালই বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্র কিংবা জাতির কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাগে আনতে ইউজিসি বহু চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা সীমিত। এটাকে শক্তিশালী না করলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যা ইচ্ছা, তাই করে যাবে বলে তিনি মনে করেন।