‘ভুয়া’ স্কুলের দুই শিক্ষার্থী সমাপনীতে পাস - দৈনিকশিক্ষা

‘ভুয়া’ স্কুলের দুই শিক্ষার্থী সমাপনীতে পাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পূর্বকান্দা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবারের ফলাফলে পাস করেছে। ‘ভুয়া’ বিদ্যালয়ের হয়ে পিইসি পাস করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ওই দুই ছাত্রীর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের পূর্বকান্দা গ্রামে। জানা যায়, একটি চক্রের যোগসাজসে শিক্ষা অফিসের একজন কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কাগজে কলমে তদন্ত দেখিয়ে ১২০ জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা পাঠানোসহ পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির ব্যবস্থা করেন। এরপরই শুরু হয় বিভিন্ন অপকৌশলের প্রক্রিয়া। বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে প্রস্তুত করা হয় সমাপনী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। এই অবস্থায় নির্বাচনী পরীক্ষায় (মডেল টেস্ট) অংশ না নিলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ডেসক্রিপটেড রোল (ডিআর) তালিকায় ওই শিক্ষার্থীদের নাম ছিল। কিভাবে তাদের নাম তালিকায় উঠেছে সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।

সদ্য সমাপ্ত পিইসি পরীক্ষায় ওই পাঁচজন কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুন্ধানে ধরা পড়ে। পরে সাধারণ ক্ষমায় তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পালিয়ে যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর এই পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কৃত দেখিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের সুযোগে ফের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। পুরো উপজেলায় এই দুই জনকেই আদালতের রায়ের সুযোগে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়। এ নিয়ে এলাকা ছাড়াও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে কথা হলে বুধবার নান্দাইল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক জানান, ওই শিক্ষার্থীরা পাস করেছে শুনেছেন। ওই বিদ্যালয়ে বই দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে এটিও ভালো বলতে পারবেন।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) তাসলিমা আক্তার লিপি জানান, তারা পাস করতে পারে তবে অন্য কিছু হবে না। একপর্যায়ে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার বই চাইলে বলা হয়েছে বিদ্যালয়ের অস্থিত্ব ঠিক করতে ও পাঠদানের উপকরণের ব্যবস্থা করতে।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040369033813477