করোনোর প্রভাবে সারা বিশ্ব আজ মহাসংকটে। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রনায়কই তাঁর সাধ্যমতো এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনিও তাঁর ব্যতিক্রম নন। বরং, করোনো মোকাবেলায় আপনার গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। এজন্য বাঙালি হিসেবেও আমরাও গর্বিত।
ইতোমধ্যেই আপনি বিভিন্ন সেক্টরে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, অতি সম্প্রতি আপনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কিন্তু সরকারি ও এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তাঁরা প্রতিমাসে তাঁদের নির্ধারিত বেতন ভাতাদি যথারীতি উত্তোলন করতে পারছেন। কিন্তু সারা বাংলাদেশের শহর থেকে শুরু করে মফস্বল অঞ্চলে যে কিন্ডারগার্টেনগুলো পরিচালিত হয় সেই সব প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কী অবস্থা হতে যাচ্ছে তা একবারও কেউ ভাবলেন না!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। এখানেও হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী যুক্ত আছেন। দেশের মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে এরাই অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। এরা আজ বড় অসহায়, এদের পাশে আজ কেউ নেই। কারো কাছে হাত পাতবে এই সুযোগটাও এদের জন্য বড় অপমানকর। এই দুর্দিনে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো, বলতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? আপনি ‘মানবতার মাতা’ খ্যাতি পেয়েছেন মানবতার কারণেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের দিকেও তাকান!
লেখক : মো. সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, লাইটওয়ে একাডেমি, শ্রীবরদী, শেরপুর।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]