‘শিশুবক্তাকে’ মুক্তি না দিলে কর্মসূচির হুমকি হেফাজতের | বিবিধ নিউজ

‘শিশুবক্তাকে’ মুক্তি না দিলে কর্মসূচির হুমকি হেফাজতের

ওয়াজ মাহফিলে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করা হয়।

ওয়াজ মাহফিলে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করা হয়। এদিকে শিশুবক্তাকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা শাখার নেতাকর্মীরা। তারা বলছে, শিশুবক্তাকে দ্রুত মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের প্রতিবাদে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা শাখার নেতাকর্মীরা। 

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা রফিকুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কোথায় আছেন, তা তাদের জানা নেই। তাকে কেন আটক করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা বলছে না। তাকে দ্রুত মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া বলেন, তার ভাই গতকাল মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজের বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বকুল মিয়াকে রাতেই ছেড়ে দেয়া হলেও অন্য দুজনের খোঁজ তাদের জানা নেই। তার দাবি, রফিকুল ইসলাম মাদানীর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনসহ তাঁদের পরিবারের ছয়টি মুঠোফোন জব্দ করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুর কাইয়ুম, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আসাদুর রহমান আকন্দ, মাওলানা তোবাইদ কাসেমী প্রমুখ। হেফাজতের নেতারা দাবি করেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

এদিকে বুধবার বিকেলে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি বলেন, আটক রফিকুল বর্তমানে র‌্যাব হেফাজতে আছেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছে, তা তার জানা নেই।

তবে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ. ন. ম. ইমরান খান জানান, রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। রফিকুল সবার ছোট। তার বাবা মৃত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে লেখাপড়া করার সময় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত হন।