স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবস শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে পালন করেছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) সুমনা আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন।
এসময় সভায় ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মহি উদ্দিন সোহেল বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত দেশের জনগণের মধ্যে যে চেতনা বিরাজমান ছিল সেটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার শক্তি।' উপ-রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী বলেন,‘বঙ্গবন্ধু সবসময়ই জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। পাকিস্তান থেকে ব্রিটেন ও নতুন দিল্লি হয়ে বাংলাদেশে ফিরে তিনি প্রথমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের স্বীকৃতি ত্বরান্বিত করেন।'
ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস বলেন,‘প্রত্যাবর্তনকালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোয় আলোকিত। কিন্তু আমরা সত্যিকার অর্থে এখনও সেই আলোয় উদ্ভাসিত হতে পারিনি। কারণ আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত সামাজিক ইতিহাস সীমিত, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ইতিহাসই বিদ্যমান।'
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জন পূর্ণতা পেয়েছিল। সেদিন থেকেই সদ্য স্বাধীন দেশে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সকল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল।' বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।