‘সিনিয়র প্রধান শিক্ষক’ পদ সৃষ্টি সময়ের দাবি - দৈনিকশিক্ষা

‘সিনিয়র প্রধান শিক্ষক’ পদ সৃষ্টি সময়ের দাবি

রুমেল রহমান |

১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন ৫২ জন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নেয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি হাইস্কুলে যোগদিয়ে তারা এই ২০১৮ খ্রিস্টাব্দেও একই পদে চাকরি করছেন। যতদূর শুনেছি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন অন্য চাকরি নিয়ে চলে গেছেন। ছয়মাস আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালকের কাছ থেকে শুনতে পেলাম ওই ৫২ জনের মধ্যে ৪০/৪২ জন এখনও প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের কোনও পদোন্নতি নেই। একইভাবে সরাসরি জেলা শিক্ষা অফিসার পদে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে চাকরিতে ঢুকে অদ্যাবধি একই পদে চাকরি করছেন কয়েকজন। তারা ৪র্থ গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তাদেরও পদোন্নতি নেই। পদোন্নতিবিহীন চাকরি পৃথিবীর কোনও উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে আছে বলে আমার জানা নেই।  

যাই হোক মাত্র কয়েকবছর আগে আমরা দেখলাম সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের আগমন ও ধরে রাখতে ‘সিনিয়র সচিব’ পদ সৃষ্টি ও পদায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার জানামতে এ ঘটনায় জনপ্রশাসনে খুশীর জোয়ার বইছে।

শুধু জন প্রশাসন কেন শিক্ষা প্রশাসনেও নতুন পদ সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার। এ এক নব দিগন্তের সূচনা। যুগ যুগ যাবত সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি ছাড়াই চাকরি করে অবসরে যেতেন। সম্প্রতি সিনিয়র শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র শিক্ষক হতে পারবেন। যতদূর জেনেছি খুব শিগগিরই সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষক।

পরিশেষে শিক্ষাবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সুযোগ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের কাছে বিনীত নিবেদন সরকারি হাইস্কুলে ‘সিনিয়র প্রধান শিক্ষক’ ও ‘সিনিয়র জেলা শিক্ষা অফিসার’ পদ সৃষ্টি করে শিক্ষা প্রশাসনে নতুন দিগন্তের সূচনা করুর। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যেটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে এতে গোটা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনে গতির সঞ্চার হবে। এই পদগুলো সৃষ্টি করতে সরকারের একটি পয়সাও বাড়তি খরচ হবে না।

 

 

রুমেল রহমান

সহকারী শিক্ষক, নড়াইল 

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030288696289062