৯ বছর বয়সেই স্নাতক | বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিউজ

৯ বছর বয়সেই স্নাতক

মাত্র ৯ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রি শেষ করতে যাচ্ছে বেলজিয়ামের শিশু লরেন্ট সিমনস। সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে ২৩-২৫ বছর বয়স লেগে যায়। কিন্তু ব্যতিক্রম লরেন্ট সিমনস।

মাত্র ৯ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রি শেষ করতে যাচ্ছে বেলজিয়ামের শিশু লরেন্ট সিমনস। সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে ২৩-২৫ বছর বয়স লেগে যায়। কিন্তু ব্যতিক্রম লরেন্ট সিমনস।

৯ বছর বয়সেই স্নাতক

সিএনএন বলছে, নেদারল্যান্ডের অ্যান্ডহোভেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টিউইউ) থেকে প্রিয় সাবজেক্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে স্নাতক শেষ করবে লরেন্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘কেবল বিস্ময়কর’ হিসেবে দেখছে! তারা বলছেন, মাত্র ৯ বছর বয়সেই লরেন্ট ডিসেম্বরে তার স্নাতক ডিগ্রি শেষ করতে যাচ্ছে।

লরেন্ট এর বাবা সিএনএনকে জানান, স্নাতক শেষ করে লরেন্ট তার পছন্দের বিষয়ের ওপরই পিএইচডি করার পরিকল্পনা করছে। একই সাথে সে মেডিসিন নিয়েও পড়ালেখা করতে আগ্রহী।

তার মা লিডিয়া এবং বাবা আলেকজান্ডার সিমনস বলছিলেন, যখন লরেন্টের দাদা-দাদি বলেছিলেন যে, সে (লরেন্ট) তাদের কাছে উপহার, তখন আমাদের তা অতিরঞ্জিত মনে হয়েছিলো। কিন্তু পরে দেখলাম তার শিক্ষকও সে বিষয়ে একমত।

‘তারা লরেন্টের মধ্যে স্পেশাল কিছু দেখতে পেয়েছিলেন’- বলেন লরেন্টের মা।

লরেন্টের বাবা-মা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষকরা তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলো। লরেন্ট দ্রুত শিখতে সক্ষম। যেকোনো কিছু দ্রুততার সাথে সে আয়ত্ত্ব করতে পারে।

এই বিষয়ে লরেন্টের মায়ের নিজস্ব তত্ত্ব আছে। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘লরেন্ট পেটে থাকার সময় আমি বেশি বেশি মাছ খেয়েছি’।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লরেন্টের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে দ্রুততার সাথে তার কোর্স শেষ করার অনুমতি দিয়েছে। ‘এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়’- বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষা পরিচালক। 

শিক্ষকরা বলছেন, লরেন্ট অনেক দ্রুত শিখতে পারে। সে দুর্দান্ত বুদ্ধিমানই নয় শুধু, অত্যন্ত সহানুভূতিশীলও। বেশিরভাগ ৯ বছর বয়সী শিশুদের থেকে সে আলাদা। সে ইতিমদ্যে তার জীবন নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে।

সিএনএনকে লরেন্ট জানায়, তার পছন্দের সাবজেক্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সে মেডিসিন বিষয়েও পড়তে আগ্রহী।

সিএনএন জানায়, লরেন্টের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার পর বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে শিক্ষার্থী হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। কিন্তু তার পরিবার এখনো ঠিক করতে পারছে না যে, লরেন্ট কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পিএইচডি শুরু করবে।

তার বাবা মনে করেন নতুন কোনো জ্ঞান সৃষ্টির জন্য গবেষণার দিকে লরেন্টের মনোনিবেশ। ‘আমরা চাই না সে খুব সিরিয়াস হয়ে যাক। সে তাই করুক যা তার পছন্দ’।

ডিসেম্বরে স্নাতক ডিগ্রি শেষে বিশ্বের স্বনামধন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করবে তা বেছে নিতে হবে লরেন্টকে। তবে তার আগে জাপানে গিয়ে একটি সুন্দর ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করছে লরেন্ট।