অবসর সুবিধার জন্য মাত্র কিছুদিন আগে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন বরিশালের প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা রহিমা বেগম। রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইস ভবনের অবসর সুবিধা বোর্ডে স্বশরীরে খোঁজ-খবর নিতে গিয়েছিলেন। বোর্ডের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী সাফ তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলেন “২০১৬ খ্রিস্টাব্দে আবেদন জমা দেয়া কাউকে এখনই টাকা দেয়া যাবে না।” সদস্য-সচিবের এ কথা শুনে রহিমা বেগম তাঁর হাতখানা দেখালেন। রহিমা জানালেন, জন্ম থেকে হাতখানার আঙুল নেই। সদস্য-সচিব সিদ্ধান্ত নিলেন ১৫ দিনের মধ্যেই রহিমাকে তার প্রাপ্য টাকার চেক দিবেন।
আজ বুধবার রহিমার হাতে চেক তুলে দিতে পেরে যারপরনাই খুশী শরীফ সাদী। দৈনিকশিক্ষার প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্যের সত্যতা জানালেন রহিমা বেগম। শরীফ সাদীও বললেন, ‘হ্যাঁ, ঘটনা সত্যি। সব আবেদকারীকেই যদি আবেদনের ছয়মাসের মধ্যে চেক তুলে দিতে পারতাম। আহা কি যে আনন্দ হতো।’
শরীফ সাদী আরো জানান, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের সহকারি অধ্যাপক শ্রীমতি শিমুল রাণী দেবীর চাকুরী ছিলো আরো ৮ বছর। কিন্তু বিধি-বাম, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে যান। মাত্র কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে তিনি এসেছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। এক সপ্তাহ পর আজ (বুধবার) চেক প্রস্তুত করার পর জানালাম, আপনার ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫০ টাকার চেক নিয়ে আসবো কোথায় কোন্ ঠিকানায়? তিনি বললেন, এতটা মেহেরবানী আপনার? অত:পর ডেল্টা হাসপাতাল থেকে তিনি এসেই পড়লেন অবসর সুবিধার অফিসে। তাঁর স্বামী অমলকান্তি চক্রবর্তী ও পুত্রবধুকে নিয়ে আসলেন। চেকটা হাতে পেয়ে সে কি খুশি। মনে হলো ক্ষণিকের জন্য হলেও যেন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। সালাম করতে উদ্যত হলেন। দোয়া করি, আপনি ভালো হয়ে উঠুন।