সাধারণ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়াধীন সরকারি-বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। পড়াশোনার মান ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের গভীরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কয়েকটি কলেজের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কলেজে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। এসব ডিগ্রির কী দরকার।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল্যায়ন প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুধু পাস কোর্স থাকা উচিত’ (ভিডিও সাক্ষাৎকার)
অনুষ্ঠানে তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য সাধারণ শিক্ষার বদলে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন একজন কর্মকর্তা। সেই সূত্র ধরে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রীও।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের ইশতেহারে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ শিক্ষা-স্বাস্থ্য নানা বিষয় এবং ভিশন ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে, যার অধিকাংশ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তেমনি ২০১০-২০১৫ পযর্ন্ত ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ঘোষণা করে এর কিছু অর্জিত হয়েছে কিছু হয়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বড় অন্তরায় ছিল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে ২০১৩-২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের রাজনীতির নামে নারকীয় তাণ্ডব, অন্যথায় ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচক অর্জন হতো। প্রবৃদ্ধি অর্জনরে মূল হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা।
কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অর্জন অনেক বেশি। এমডিজির অধিকাংশ সূচক আমরা অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিনিয়োগের যথেষ্ট অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এছাড়া দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও ক্ষেত্র উভয়ই রয়েছে। বাংলাদেশ আগামী দুই এক বছরের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে এক নতুন কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে সর্বক্ষেত্রে, বাড়বে কর্মসংস্থান, ঘটবে স্বাস্থ্য-মানসম্মত শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়ন কর্মসংস্থান।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা ২ লাখ শিক্ষার্থীর
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য এম শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কালে সবচেয়ে বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এর কারণ বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে পরিকল্পনার একটা মিল ছিল।
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকের পর আর উচ্চ শিক্ষায় যাচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে কী হবে, সেটা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের দক্ষতা নিশ্চিত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একি তামাশা!
সব শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আগামী বছরগুলোতে বৈষম্য কমানো ও শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানান।