বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান সুযোগের চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ৬ মাসের ডিপ্লোমায় আইসিটি বিষয়ের নিবন্ধিত প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লারের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীদের দাবি, তারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য সনদ পেয়েছেন। তাদের সনদের বৈধতা হিসেবে তারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদানের আবেদন করতে পারবেন। সে প্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে আইসটি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশ পেতে আবেদন করেছিলেন ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীরা। গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ তালিকায় ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীরাও সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি সুপারিশকৃত প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জ্ঞাতব্য বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে ৬ মাসের ডিপ্লোমায় সুপারিশপ্রাপ্ত নিবন্ধিত প্রার্থীদের আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তাই সুপারিশ পেয়েও আমরা ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীরা চাকরিতে যোগ দিতে পারছিনা।
নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবি, গত ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক রায়ে স্পষ্ট করে ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীদের আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদানের যোগ্য বলা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীরা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছেন। নিয়োগ না পেয়ে আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীরা হতাশায় দিন অতিবাহিত করছেন।
তবে, সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধিত প্রার্থীদের আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদানের বিষয়ে এনটিআরসিএর একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধন সনদধারীরা তথ্য গোপন করে আবেদন করেছেন। এ প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে তাদের সুপারিশ করা হয়েছিলো। সুপারিশ মানে এই নয় তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শর্তপূরণ না করতে পারলে তারা যোগদান করতে পারবেন না। শর্ত হিসেবে ধরা হয়েছে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮-কে। আর নীতিমালার শর্ত পূরণ না করে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না। এ বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,যদি কোন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে যোগদান করা থেকে বিরত থেকে এ বিষয়ে এনটিআরসিএকে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।