বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুতে বিএনপি ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হজরতাল ডেকেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নুরে আলমের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। মিছিল শেষে কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের শোক জানানো অব্যহত রয়েছে।
গত রোববার বিএনপির দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ৩৫ রাউন্ড টিআর সেল এবং ১৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। প্রাণ হারায় আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
ওই সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম গুরুতর আহত হন। ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
৩ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।