খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের জনৈক মোসলেম উদ্দিন খান ২টি ভুয়া সাটিফিকেট নিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । তিনি ফাজিল (বিএ) সনদধারি পরিচয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, প্রাণ কোম্পানিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া এসপি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম মিয়া ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোসলেম উদ্দিন খান ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের সাজ্জাদ খানের ছেলে। সে নিজেকে ফাজিল পাস দাবি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে চুকনগর খাঁ পাড়া জামে মসজিদের গণশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকতা করে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। বাদুড়িয়া এসপি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী পদেও তিনি চাকরি করেন। পাশাপাশি চাকুরি করেছেন প্রাণ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি পদেও। তাছাড়া আরও ২টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিজেকে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে নুরানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে প্রথম বিভাগে আলিম পাশাপাশি এবং ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে কেশবপুর বাহারুল উলুম আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস বলে পরিচয় দেন। সার্টিফিকেট দুটির কোন সত্যতা মেলেনি।
আলিম পাসের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নুরানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু সাঈদ ২০০২ খ্রিস্টাব্দে আলিম পরীক্ষার্থীদের তালিকা দেখে জানান; মোসলেম ওই বছর পরীক্ষা দিয়েছিল তার রোল নং-১৩২৭১৯, সেশন ২০০০/২০০১। কিন্তু সে পাস করেনি। অথচ বিভিন্ন দপ্তরে মোসলেম উদ্দিন যে সনদ পত্রের ফটোকপি জমা দিয়েছেন তার রোল নং-৭৬৯৫০৭ এবং রেজিঃ নং-৪১৬১৬, সেশন-১৯৯৬/৯৭। অনুরূপভাবে কেশবপুর বাহারুল উলুম আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসায় যোগাযোগ করা হলেও সেখানে তার ফাজিল পাস করার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মোসলেম উদ্দিন খান বলেন,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে চুকনগর খাঁ পাড়া জামে মসজিদের গণশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকতা করে বেতন ভাতা নিয়ে থাকি। কিন্তু বাদুড়িয়া এসপি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় থেকে কোন বেতন পাই না। তবে আলিম ও ফাজিল পাসের সার্টিফিকেটের সত্যতার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।