ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধ ও আট দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহর অনশন ভাঙিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ডাবের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এই মুহূর্ত থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে দাপ্তরিক কাজের জন্য আর রেজিস্ট্রার ভবনে যেতে হবে না। সব কাজ হল ও বিভাগে সম্পন্ন হবে। সেখানে আমাদের লোকবল দেওয়া আছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন রেজিস্ট্রার ভবনে এসে মূল্যবান সময় নষ্ট না করে। সে সময়টিতে তারা যেন পড়াশোনা করে, সেমিনার রুমে আড্ডা দেয় এবং লাইব্রেরিতে যায়। কোনোক্রমেই কোনো কাজেই তারা রেজিস্ট্রার ভবনে আসবে না। সব কাজ হল ও লাইব্রেরিতে হবে। সেখানে কেউ হয়রানি হলে প্রভোস্ট এবং চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ সহকারী প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনশন ভাঙানোর পর হাসনাত আব্দুল্লাহকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার সহপাঠীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে ঢাবি প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধ, প্রশাসনিক ভবনের কাজ গতিশীল ও সহজ করাসহ আট দফা দাবি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নির্ধারিত সময়ে দাবি না মানায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এই শিক্ষার্থী।