১ থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী প্রত্যেকের নিয়োগ নিশ্চিতকরণের আশায় এ পর্যন্ত আদালতে প্রায় ৮০টি রিট দাখিল করা হয়েছে। আরো কিছু রিটের প্রস্তুতি চলছে বলে শুনতে পাই। অধিকাংশ রিটের শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট রিটকারীদের পক্ষে রুল জারি করেছেন। বাকি গুলোর শুনানির জন্য রিট নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীগণ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে কিছু রিটকারী আইন ও আদালতের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা না রেখে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। যা আইনি লড়াইয়ে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই বলে যাচ্ছেন যে, এনটিআরসিএ কোর্টের আদেশ তোয়াক্কা না করে ত্রয়োদশের ফলাফল ও চতুর্দশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আমি আগেও বলেছি। এখনো বলছি, আদলতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা জানানোর সাহস কারো নেই।
কোনো রিটের আদেশে পরীক্ষা গ্রহণ ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মহামান্য হাইকোর্ট বিধিনিষেধ আরোপ করেননি। বরং ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী রিটকারীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না এই মর্মে আদালত রুল জারি করেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত রিট নিষ্পত্তি বা পূর্ণাঙ্গ শুনানিশেষে রায় না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তাই এখনি আমরণ অনশনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে, তা রিট কারীদের আরো কয়েকবার ভেবে দেখাই সমীচীন হবে বলে মনে করছি।
আমরণ অনশনের পূর্বে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের দাবী আদায়ে মানব বন্ধন, সভা-সমাবেশ, শহীদ মিনারে অবস্থান বা প্রতীকী অনশন করা যেতে পারে। যদি প্রথম দু’একটি রিটের পূর্ণাঙ্গ রায় রিটকারীদের পক্ষে না আসে, তবে পরবর্তী রিটের রায় যাতে পক্ষে আসে সেজন্য আমরণ অনশন করা যেতে পারে। তখন রিটকারীগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অনশনে যোগ দিবেন।
এদিকে, এখনই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলে, এতে কতজন অনশনে যোগদান করবেন তা সহজেই অনুমান করা যায়।
তাই রিটকারীদের প্রতি আমার উদাত্ত আহবান, আপনারা একে অপরকে প্রতিপক্ষ না ভেবে বা ঘায়েল না করে একত্রে বসে শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।
আপনাদের মধ্যে একতা থাকলে রিট ও রিটকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, আইনি যুদ্ধ ও আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি, সকলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটবে, ইনশাল্লাহ।
এইচ. এম. শাকিল
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]