পুলিশ পরিচয়ে শিক্ষিকাকে অপহরণ, আগুনের ছ্যাঁকা | স্কুল নিউজ

পুলিশ পরিচয়ে শিক্ষিকাকে অপহরণ, আগুনের ছ্যাঁকা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাজরিনা আক্তার নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে পুলিশ পরিচয়ে একদল অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জলন্ত কয়েলের ছ্যাকা দিয়ে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অপহরণকারীরা শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টাও করে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাজরিনা আক্তার নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে পুলিশ পরিচয়ে একদল অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জলন্ত কয়েলের ছ্যাকা দিয়ে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অপহরণকারীরা শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টাও করে।

গত রোববার বিকালে উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া মার্কেট এলাকা থেকে যুবতীকে অপহরণ করে এ নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তাজরিনা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার স্কুল শিক্ষিকা তাজরিনা আক্তার উপজেলার আউখাবো এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন মডেল স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরি করে আসছেন।

ভুক্তভোগী তাজরিনা আক্তার জানান, তার আড়াইহাজার উপজেলার লস্করদি এলাকার হিমেল নামের যুবকের সাথে পরিচয় হয়। পরে হিমেলের কাছ থেকে প্রয়োজনে ১০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। হঠাৎ হিমেল তাজরিনাকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। রোববার বিকেলে হিমেল টাকার বিষয়ে কথা বলার কথা বলে তাকে গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় আসতে বলে।

পরে পৌঁছানো মাত্রই পুলিশ পরিচয়ে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার যোগে লস্করদি এলাকার অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এসময় হিমেলের চাচাত ভাই খায়রুল ইসলামসহ পুলিশ পরিচয়দানকারী সুমন ও কাউসার মিয়া তাজরিনাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারা প্রথমে তাকে চড়থাপ্পড় মারে আর বলে টাকা এখন দিবি না হয় ইজ্জত দিবি বলেই হিমেল তার ঘায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা চালায়। এর এক পর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দানকারী সুমন তাজরিনাকে শরীর জলন্ত কয়েলের ছ্যাকা দিতে থাকে।

কাউসার আমাকে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। পরে তাজরিনা আত্মরক্ষার জন্য আত্বচিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায় এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হিমেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করেন। তাদের ফাঁসানোর জন্য তাজরিনা নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।