বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জিসান হত্যা মামলায় একজনের স্বীকারোক্তি - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জিসান হত্যা মামলায় একজনের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিন পর এক ব্যক্তি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আদালতে। রোববার (২৬ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে হাসিবুর রহমান জবানবন্দি দেন।

পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুরের স্ত্রী সজনী ও তার বন্ধু শ্রাবণ ওরফে শাওনকেও গ্রেফতার করেছে।

গত ১২ মে রাজধানীর শ্যামলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান (২৪) নিখোঁজ হন। ২৩ মে গাজীপুরের কামারজুরি এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার এসআই সুজা নূর জানান, রাইড শেয়ারিং ’পাঠাও’-এ নিজের মোটরসাইকেল চালাতেন জিসান। গত ১২ মে জিসানকে ঢাকা থেকে হোটেল ব্যবসায়ী হাসিব নিজ এলাকায় গাজীপুরের কামারজুরি যাওয়ার জন্য ভাড়ায় নেন। এরপর থেকেই জিসান নিখোঁজ ছিলেন।

এ ব্যাপারে জিসানের বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলানগর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এসআই সুজা নূর জানান, গত ২৩ মে কামারজুরি এলাকা থেকে হাসিবুর রহমান নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে আটক ও তার হেফাজত থেকে নিখোঁজ জিসানের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে একই দিন ওই এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত হাসিবুরের স্ত্রী সজনী ও তার বন্ধু শ্রাবণ ওরফে শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। হাসিব স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে সস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এসআই সুজা নূর আরও জানান, জিসানের মৃতদেহ উদ্ধারের চারদিন পর রোববার গ্রেফতারকৃত হাসিবুর ঢাকা সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।

“তিনি ও অপর দুই সহযোগী মিলে জিসানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে হাসিবের ঘরেই জিসানের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকে লাশ গুম করেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেন।”

জিসান রাজধানীর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং পাঠাও চালাতেন। শ্যামলীর রোড ২ সম্বর সড়কের ১৬/ডি বাসায় বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন।

তিনি গাজীপুরের গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। তার মা ভাতের হোটেলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077579021453857