ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত এবি ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তার কাউকেই খুঁজে পায়নি পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ হাইকোর্টে জমা দেয়া প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে তাদের বিদেশযাত্রা আটকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ৭টি থানার পুলিশ আসামিদের সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কাউকেই খুঁজে পায়নি। এ কারণে আসামিদের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরও ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও আইজিপির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৬ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি গতকাল বুধবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের কাকরাইলের শাখা থেকে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ৬টি ওয়ার্ক অর্ডার দেখিয়ে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণ দানে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ওয়ার্ক অর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেননি। এরপর ২০২১ সালের জুনে এরশাদ আলী এবং এবি ব্যাংকের সাবেক দুই এমডি শামীম আহমেদ ও মসিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।