আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে খ্যাতনামা ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডির নির্বাচন।
সুনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির চারটি শাখায় ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এর মধ্যে প্রধান ক্যাম্পাস নি্উ বেইলি রোড শাখায়ই ভোটার প্রায় ১৩ হাজার। এর বাইরে বসুন্ধরা শাখায় সাড়ে পাঁচ হাজার, ধানমণ্ডি শাখায় এক হাজার ৭০০ ও আজিমপুর শাখায় প্রায় দুই হাজার ৮০০ ভোটার রয়েছেন।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চার শাখায় একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর ৯টি পদের জন্য লড়ছেন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে দুজন করে, প্রাথমিক স্তরে একজন ও একজন সংরক্ষিত নারী অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হবেন। আর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন তিনজন। এর মধ্যে কলেজ ও বিদ্যালয় স্তরে একজন করে এবং একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী ১১ সদস্যের পরিচালনা কমিটি হবে। এর মধ্যে অধ্যক্ষ পদাধিকারবলে সদস্যসচিব এবং আরেকজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য থাকবেন। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সদস্য ও বিদ্যোৎসাহী সদস্যের মধ্য থেকে একজন সভাপতি হবেন।
দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষাডটকম গত চারদিন যাবত প্রায় এক হাজার ভোটারের মতামত নিয়েছেন। এদের মধ্যে মাধ্যমিক শাখায় অভিভাবক প্রতিনিধি পদের পছন্দের প্রার্থীদের বিষয়ে মতামতদানকারীদের একটা বড় অংশ মারুফ আহমেদ মনসুরের নামটি খোলাখুলিভাবে বলেছেন। তাঁর পক্ষে ভোট দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরো অনেকে। তারা খোলাখুলিভাবে বলেছেন, যাদের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক, শিক্ষা ও পারিবারিক জীবন কেবল তাদেরকেই এই সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া উচিত। যারা ভিকারুন নিসা থেকে কিছু নেবেন না, কিছু দেবেন ও দেয়ার ক্ষমতা ও মনন রয়েছে তাদের মধ্যে মনসুর অন্যতম। মারুফ মনসুরের ব্যালট নং ৫।
জানা যায়, জনপ্রিয়তা ও প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন মারুফ মনসুর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দশ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর মারুফ মনসুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাসসহ এম এ পাস করেন।
জানতে চাইলে দৈনিশিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রতিষ্ঠান সুনাম বৃদ্ধি করা ও গৌরব রক্ষার অভিপ্রায়ে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। সুনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি কিছু দিতে চান, কোনো কিছু নেয়ার জন্য নির্বাচন করছেন না। দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব অভিভাবকের দোয়া ও ভোট প্রার্থী তিনি।
মতামতদানকারীরা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে জন্য যোগ্যপ্রার্থী মনে করছেন আতাউর রহমানকে। তাঁর ব্যালট নং ১। প্রাথমিক স্তর নিয়ে কথা বলেছেন সুজাউদ্দিন আহমেদের পক্ষে। প্রাথমিক স্তরে তিন্না খুরশীদ জাহানকে যোগ্য মনে করছেন ভোটাররা।
জানা যায়, গত ৯ বছরই গভর্নিং বডি চলছে অ্যাডহক আর বিশেষ কমিটি দিয়ে। বেশির ভাগ সময়েই সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এর আগেও যখন নির্বাচন হতো তখন স্থানীয় সংসদ সদস্যই এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতেন। তাই এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ অভিভাবকদের খুব একটা আগ্রহ ছিল না। সংসদ সদস্যরা তাঁদের ইচ্ছামতো গভর্নিং বডি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে পারবেন না মর্মে গত বছর আদালত রায় দেন। সেই রায়ের পর এটাই এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম নির্বাচন। ফলে এবারের নির্বাচন ঘিরে সাধারণ অভিভাবকদের আগ্রহ তুঙ্গে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিযোগিতা করছেন সাতজন। তাঁরা হলেন সাবিনা চৌধুরী, আফরোজা আলম, রাজু আলীম, আতাউর রহমান, ইউনুছ আলী আকন্দ, এনায়েত করিম ও মোশারফ হোসেন।
মাধ্যমিক স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী— মারুফ আহমেদ মনসুর, আনোয়ার কবির ভূঁইয়া, এ বি এম মনিরুজ্জামান, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ফয়সাল বাবুল, সহিদুল ইসলাম জমাদার, হেলাল উদ্দিন ও সিদ্দিকী নাছির উদ্দিন।
প্রাথমিক স্তরে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সুজাউদ্দিন আহমেদ, আতিকুর রহমান দর্জী, আনিসুর রহমান, গাজী কাউসার আহমেদ, খাজা সলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মীর মো. শাহাবুদ্দিন, তাওহীদুল হক, মো. শাহ আলম ও মো. সোহেল ।
সংরক্ষিত নারী অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিযোগিতা করছেন চারজন প্রার্থী— তিন্না খুরশীদ জাহান, কামরুন্নাহার খানম, রানী পারভীন ও মুর্শিদা আখতার।