নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এরা সবাই রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জুলহাস (৩৫) ও আলী মাস্টার (৫৫) নামে দুই জনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেকসহ (৬০) আরও একজনের মৃত্যু হয়। আর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাহারউদ্দিন (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। মৃত অন্যরা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০), মাইনুদ্দিন (১২), রাসেল (৩৪), মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) , সাংবাদিক নাদিম (৪৫)।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এ ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।