জঙ্গি আস্তানা ভেবে একটি স্কুলের উপর হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে ৭ স্কুল শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠে শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে।
সেনাবাহিনী জানায় তাদের কাছে খবর ছিল ওই স্কুলটি একটি জঙ্গি আস্তানা ছিল। এখানে বসেই সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এজন্য সেনাবাহিনী এখানে অভিযান চালিয়েছে।
স্কুল প্রশাসন জানায়, এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার দিয়ে স্কুলের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুই বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী মৃতদেহগুলোকে ঘটনাস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি শহরে নিয়ে যায় এবং সেখানে কবর দেয়। নেটমাধ্যমে ওই স্কুলের বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে স্কুলের দেওয়ালে গুলি এবং রক্তের দাগ স্পষ্ট।
সেনাবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’ নামক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই মঠে বেশ কিছু দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন এবং গ্রামটিকে অস্ত্র লেনদেনের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। সেনাবাহিনীর তরফে ওই এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পর জঙ্গিরা স্কুলের ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট (এনইউজি)-এর দাবি, সেনাবাহিনী ইচ্ছা করেই এই স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পর ২০ জন ছাত্র ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও এনইউজির দাবি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
প্রসঙ্গত, গত বছর নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশ সামালানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় সে দেশে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।