সাতক্ষীরার পল্লীতে দাহ্য পদার্থ ছুঁড়ে গৃহবধু ও স্বামীকে দগ্ধের চারদিন পর গৃহবধু তামান্না খাতুন (২৫) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তামান্না খাতুন জেলার পাটকেলঘাটা থানার কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে ও সাতক্ষীরা সদররে ফরহাদ সরদারের স্ত্রী।
গত ৫ মে সন্ধ্যায় কপোতাক্ষ নদের তীরে বর্তমান স্বামীসহ তামান্নাকে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে পালিয়ে যায় সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ কিছু যুবক। প্রথমে তাদের খুলনা মেডিকেল ও পরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনার পর ৬ মে সকালে তামান্নার বাবা আব্দুল হক বাদী হয়ে সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ ৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় মামলায় ২ নম্বর আসামী শেখ তুহিন হোসেনকে (২১) বাড়ির পাশ থেকে এবং প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে রাজধানীর বার্ন ইউনিট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাদ্দাম হেসেন বর্তমানে পুলিশ তদারকিতে রাজধানীর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
তামান্নার বাবা আব্দুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার মেয়েক যারা হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানাই।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দগ্ধ মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে এগারো টার সময় মারা গেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এস আই) কৃষ্ণ পদ সমাদ্দার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে অবস্থান করছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান আসামি সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গৃহবধুর বর্তমান স্বামী ফরহাদ হোসেন দগ্ধ অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ মামলায় অপর এক আসামি পাটকেলঘাটার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহিন হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে।