যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম চুড়ান্ত বরখাস্ত হচ্ছেন। এমনটি জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ১৮ মে যদি সালাম আত্মসমর্পণ করে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তার জবাব না দেন তাহলে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম পলাতক আছেন। এ কারণে ১১ অক্টোবর বোর্ড কর্তৃপক্ষ সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করে। সাত কার্যদিবসে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু সে শোকজের জবাব দেয়নি। পরবর্তী ১৬ ফেব্রুয়ারি সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবরণী গঠন করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ওই দিনই সালামের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো হয়। ১০ কার্যদিবেস জবাব দেয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এর সে ৬ মার্চ বোর্ডে ডাক যোগে চিঠি পাঠিয়ে জবাব দেয়ার সময় প্রার্থনা করে।
বোর্ড থেকে তাকে সময় না দেয়ায় ৯ মার্চ সালাম আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে শোকজের জবাব দেন। তার জবাবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সন্তোষ্ট হয় না। বরং সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করার জন্য ২৭ এপ্রিল তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্রকে আহ্বায়ক উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন ও উপসচিব জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য করে এ বোর্ড গঠন করা হয়। ২৮ এপ্রিল তদন্ত বোর্ড সালমকে ‘কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’ তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৮ মের মধ্যে জবাব দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে সালাম যদি জবাব না দেয় তাহলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবে বলে জানান, তদন্ত বোর্ডের আহ্বায়ক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। এমনকি আরেকবার তাকে চিঠি দেয়া হতে পারে। অথবা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব জানান, চেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধী যেন শাস্তি পায়,সে লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।