লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রশন ফি আদায় করছেন। অতিরিক্ত ফি নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। এর প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে অন্তর্গত দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সরকার নির্ধারিত ফিয়ের চেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করলেও প্রধান শিক্ষক তা শোনেননি। আশেপাশে আর কোন স্কুল না থাকায় শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এ সুযোগে ইচ্ছামতো ফি নির্ধারণ করেন প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন। অভিভাবকেরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গত ১২ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, চলতি বছর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১১০ টাকা এবং ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭১ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। অথচ প্রধান শিক্ষক ৮ম শ্রেণির ৮৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জনপ্রতি ৪০০ টাকা এবং ৯ম শ্রেণির ৯৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। অতিরিক্ত ফি আদায়ের টাকা তিনি বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বইয়ে লিপিবদ্ধ করেননি। এছাড়াও তিনি মাসিক বেতনসহ অন্যান্য ফিও কয়েকগুণ আকারে আদায় করে থাকেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা সরকার নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ তার অনুসারী দুই একজন শিক্ষক।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয় তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বাবদ ব্যাংক, শিক্ষাবোর্ড যাতায়াত করাসহ স্কুলের বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কাজ করতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।