সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পিটিয়ে এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১০৩ নম্বর সেন্ট্রাল আবাদ চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আনিসা আক্তারকে (১১) বেধড়ক পিটিয়ে বাম হাতের কনুই ভেঙে দিয়েছেন একই স্কুলের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। গত সোমবার স্কুলে এঘটনা ঘটে।
আনিসা আক্তার আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের আবুল সরদারের মেয়ে। তার বাবা আবুল সরদারের অভিযোগ, ওই দিন দুপুরে পানির পিপাসা লাগার কারণে আনিসাসহ কয়েকজন লাইব্রেরিতে গিয়েছিল পানি খেতে। এসময় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দলবেঁধে আসা ভালোভাবে নেন নি। একসঙ্গে ছয় সাতজন লাইব্রেরিতে প্রবেশ করায় বেপরোয়া মারপিট শুরু করেন। এত শিক্ষার্থী আনিসা আক্তারের হাত ভেঙে যায়।মেয়েটি বর্তমানে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শিক্ষক এসএম শহিদুল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদ চন্ডিপুর বনবিবি তলার গ্রামের মৃত নুরবান সরদারের ছেলে।
অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রত্যেক অভিভাবক তার প্রাণপ্রিয় সন্তানদের শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠান। তারা আশা করেন বাবা-মায়ের মত শিক্ষকরা তাদের আদর যত্নে আগলে রাখবেন। আগেকার দিনের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা এখন পাল্টে গিয়েছে।
লাঠির ব্যবহার অনেক আগেই বদলে আনন্দ দানের মধ্যে শিক্ষা প্রদান এই পদ্ধতি চলমান। প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে। তারপরও কিছু নামধারী শিক্ষক আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না।
এবিষয়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সোমবার সকালে আমাদের স্কুলে নতুন ভবনে আনিসা আক্তারসহ বাচ্চারা খেলা করছিল, তাদেরকে বার বার ক্লাসে আসার কথা বললেও তারা আসেনি। যার কারণে আমি নিজে যে প্রতিটি বাচ্চাকে খেজুরের লাঠি দ্বারা দুইটা করে বাড়ি দিয়ে ক্লাসে নিয়ে আসি।
তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষার্থী ডান হাতে আঘাতজনিত কারণে গলায় ঝুলানো আছে। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।