`শিক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কিছু শিক্ষক'

`শিক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন কিছু শিক্ষক'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে এখনো অনেক নীতিবান শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক শিক্ষক টিউশনির ফাঁদে পা দিয়ে শি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম বলেছেন, দেশে এখনো অনেক নীতিবান শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক শিক্ষক টিউশনির ফাঁদে পা দিয়ে শিক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। শিক্ষকরা যদি প্রশ্নফাঁস করেন, সেটি বন্ধ করা যাবে কীভাবে? 

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম এ কথা বলেন। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আকতারুজ্জামান।

এ শিক্ষাবিদ বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের ঘটনা খুব দুঃখজনক। আমরা প্রশ্ন সংরক্ষণে বাইরের নি-িদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি। কিন্তু ঘরের ভিতরের মানুষ যদি প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকেন তবে তো এটি ঠেকানো কঠিন। এতদিন শিক্ষকদের মাধ্যমে এমন অভিযোগ আসেনি। এখন থেকে এই বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এমন বিষয় প্রথম সামনে আসল।

এর মানে হচ্ছে শিক্ষকদের মধ্যেও লোভের সংস্কৃতি চালু হয়ে গেছে। সচ্ছলতার বাইরেও কেউ তার জীবনকে বিস্তৃত করার চেষ্টা করছেন। যদি শিক্ষকরা এ ঘটনায় তদন্তে দোষী প্রমাণিত হন তবে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ মন্জুরুল ইসলাম বলেন, আইন যদি সত্যিকার অর্থে প্রয়োগ হয় তবে প্রশ্নফাঁসে জড়িত শিক্ষকের কখনো চাকরি থাকার কথা নয়। পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করা চূড়ান্ত নৈতিক অপরাধ। আমাদের দেশে আইন না মানার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সেটি ঘটেছে আইনের শাসনের দুর্বলতার কারণে। এ জন্যই সত্যিকার অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। ছোটখাটো অপরাধ করলে আইনের ক্ষোভ তাদের ওপর পড়ে। এটা ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে না। প্রতিটি স্তরে প্রশ্নের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।