জারিফের বয়স মাত্র আড়াই বছর। জন্মের পরই তার হৃদরোগে রোগ ধরা পড়ে। গত আড়াই বছর ধরে চলছে তার চিকিৎসা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে অনেক টাকা। ছেলের চিকিৎসা খরচ জোগাতে সহায় সম্পদের অনেকটা বিক্রি করে দিয়েছেন অসহায় বেসরকারি কলেজের ননএমপিও শিক্ষক বাবা। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।
শিশু জারিফ আল মাহমুদ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বেসরকারি কলেজ শিক্ষক জহুরুল হকের আড়াই বছর বয়সী ছেলে। জহুরুল হক স্থানীয় ফকিরপাড়া আদর্শ মহিলা কলেজের ননএমপিও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, জহুরুল হকের আড়াই বছরের ছেলেসন্তান জারিফ আল মাহমুদের জন্মের পরপরই হৃদপিণ্ডে ফুটো ধরা পড়ে। এরপর ছেলেকে বাঁচাতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন কলেজ শিক্ষক জহুরুল হক। ছেলের চিকিৎসার জন্য ধারদেনা ও জায়গা-জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়। কোন জায়গা জমি বলতেই বাড়ি ভিটে ছাড়া কিছুই নেই তার।
করোনার সময়ে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক জারিফ আল মাহমুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এর পর ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক শিশু ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়লজিস্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশনের প্রয়োজন, পাশাপাশি হার্টে দুইটি ফুটো হয়ে গেছে। এ জন্য ভারতে নিয়ে এগিয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি করার পরামর্শ ও রেফার করেন।
শিক্ষক জহুরুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ছেলেকে ভারতে নিয়ে গিয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন ও দুইটি হার্ট ফুটোর অপারেশন করতে প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। বাবা ও পরিবারের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করার কোন সামর্থ নেই। যা ছিল তা আড়াই বছরের ছেলের চিকিৎসায় সব শেষ হয়ে গেছে।
তাই ছেলের অপারেশনের জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের সহায়তায় কামনা করছেন শিক্ষক জহুরুল হক।
শিশুর মা নার্গিস আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দুটি সন্তানের মধ্যে প্রথমটি মেয়ে দ্বিতীয়টি ছেলে। ছেলের জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে এতে অনেক টাকা শেষ হয়েছে আমাদের। এখন ছেলের অপারেশনের প্রচুর টাকা প্রয়োজন।এজন্য সবার সাহায্য কামনা করছি।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জরুল হকের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। জহুরুল হক ছাত্রজীবন থেকেই নিজের উপার্জনের টাকায় পড়াশোনা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা তাকে দুটি সন্তান দিয়ে একজনকে জন্মে পরই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে তার অপারেশনের জন্যে প্রচুর টাকার প্রয়োজন তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
শিশুটির অপারেশনের জন্য সাহায্য পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়
জহুরুল হক রুপালী ব্যাংক, বড়খাতা শাখা
হিসাব নং-৪৪২৪০১০০১০০৪৫ অথবা
ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ৭০১৭৩২৭১৩২৮৪২,
বিকাশ ০১৭৬৭-৫৪০৩৮৬, নগদ ০১৭২২-৯৫০৪৬৬