খুলনায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ছয়জনের পকেট থেকে মানিব্যাগ, টাকা ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বধ্যভূমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে পকেটমারের ঘটনা পাইকগাছায় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় সেখানে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর অনেকে তাদের পকেটে হাত দিয়ে অবাক হন। কিছু সময়ের মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগলকিশোর দের পকেট থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, সাংবাদিক তপন পালের ৫ হাজার টাকা, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা খোয়া গেছে। এ সময় কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর মোবাইল ফোন খোয়া যায়।
সাংবাদিকদের ধারণ করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা খর্বাকৃতি প্রকৃতির মধ্য বয়স্ক মাস্ক পরা ব্যক্তি কপিলমুনি আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগলকিশোর দের পাঞ্জাবির পকেটে কৌশলে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে। পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও পকেটমার সুকৌশলে তার কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা তাদের প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটিকে ‘ম্যারাথন পকেটমার’ বলে অভিহিত করেছেন।
কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভুক্তভোগী আবদুর রাজ্জাক রাজু বলেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তার মোবাইল ফোন ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। তবে পরে অন্যদের ঘটনা ও ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, তার মোবাইল ফোনটিও পকেটমারের খপ্পরে পড়েছে।
পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এত ভিড়ে ঘটনা ঘটায় কেউ বুঝতে পারেনি। মুখে মাস্ক থাকায় তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেশাদার পকেটমার। তাকে আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে।