সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য : অভিভাবকদের ক্ষোভ | বিবিধ নিউজ

সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য : অভিভাবকদের ক্ষোভ

নীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ মেলা ও সার্কাসের নামে চলছে জমজমাট অশ্লীল নৃত্য। মেলায় যাদু ও পুতুল নাচের নামে প্যান্ডেলগুলোতে চলছে নৃত্য শিল্পীদের খোলামেলা দেহ প্রদর্শন। এতে করে উঠতি বয়সের ছাত্র ও যুবকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ওই সব প্যান্ডেলগুলোতে। চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকার অভিভাবক মহল। তবে প্রশাসনকে ম্যা

নীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ মেলা ও সার্কাসের নামে চলছে জমজমাট অশ্লীল নৃত্য। মেলায় যাদু ও পুতুল নাচের নামে প্যান্ডেলগুলোতে চলছে নৃত্য শিল্পীদের খোলামেলা দেহ প্রদর্শন। এতে করে উঠতি বয়সের ছাত্র ও যুবকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ওই সব প্যান্ডেলগুলোতে। চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকার অভিভাবক মহল। তবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এরকম অশ্লীল নৃত্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের।

জানা গেছে,কালীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বাজার উন্নয়নকল্পে আনন্দ মেলা ও সার্কাসের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন কমিটির সভাপতি। জেলা প্রশাসক শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র সার্কাস ও আনন্দ মেলার জন্য গত ৪ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ১০ দিনের অনুমতি দেন। 

সরেজমিনে গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার পর উপজেলার কালীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বাজারের আনন্দ মেলায় গিয়ে দেখা যায়, যাদু ও পুতুল নাচের প্যান্ডেলগুলোতে ৩০ মিনিটের জন্য ৫০ টাকা মূল্যে টিকিট কেটে যাদু বা পুতুল নাচ না দেখিয়ে চলছে নৃত্য শিল্পীদের খোলামেলা দেহ প্রদর্শন। এছাড়াও সার্কাসের নামে মেলায় চলছে অশ্লীল নৃত্য। আর সব অশ্লীল নৃত্যে শিল্পীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থান দেখার প্রলোভনে টাকা ছিটিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন উঠতি বয়সের ছাত্রসহ যুব সমাজ। তাদের অশ্লীল নৃত্য কেউ যাতে মোবাইলফোনে ভিডিও করতে না পারে সেজন্য কঠোর তদারকিতে রয়েছেন আয়োজক কমিটির লোকজন। কেউ ভিডিও করলে তাৎক্ষনিক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তার মোবাইল। অপর দিকে মধ্যরাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে গান বাজার কারণে ওই এলাকার আশপাসের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য : অভিভাবকদের ক্ষোভ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আগামী জুন মাস থেকে ছেলেমেয়েদের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় মধ্য রাত পর্যন্ত চলা গানবাজনার উচ্চশব্দে পরিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারছেনা। এ ব্যপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। 

আনন্দ মেলা ও সার্কাসের নামে জমজমাট অশ্লীল নৃত্য চলার বিষয়ে জানতে চাইলে আয়োজক কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, অশ্লীলতা বলতে আপনারা কি বুঝেন, ঢাকায় মেয়েরা হাফ প্যান্ট পড়ে ঘুরলে অশ্লীলতা হয় না? আমাদের মেলার বেলায় যত কথা। 

এ বিষয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতির আপন চাচা মশিউর রহমান বলেন, আমার জানামতে মেলায় কোন অশ্লীলতা হচ্ছে না, তবে আসেন কথা হবে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেলা বা সার্কাসের নামে অশ্লীলতা চালালে তা চলতে দেয়া হবে না, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শুধূমাত্র সার্কাস ও আনন্দ মেলার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় ১০ দিনের অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে কোন প্রকার অশ্লীলতা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। মেলায় কোন প্রকার বেআইনী কার্যকালাপ চলতে দেয়া হবে না।