স্কুলছাত্রকে দিয়ে রোগীর মাথায় সেলাই | বিবিধ নিউজ

স্কুলছাত্রকে দিয়ে রোগীর মাথায় সেলাই

পটুয়াখালীর দশমিনা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আঘাতপ্রাপ্ত এক রোগীর মাথায় অষ্টম শ্রেণিপড়ূয়া কিশোরকে দিয়ে সেলাই করানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে সেলাইটি করে দিতে অনুরোধ করলেও তিনি শোনেননি।

পটুয়াখালীর দশমিনা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আঘাতপ্রাপ্ত এক রোগীর মাথায় অষ্টম শ্রেণিপড়ূয়া কিশোরকে দিয়ে সেলাই করানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা

জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে সেলাইটি করে দিতে অনুরোধ করলেও তিনি শোনেননি।

  

হাসপাতাল সূত্র জানায়, অভিযুক্ত মো. রোমান উপজেলার হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। তার বাবা রেজাউল বাদশা। দাদা কালু বাদশা ওই হাসপাতালের এমএলএসএস পদ থেকে অবসরে গেছেন। তাঁর শূন্য পদে কাজ করছে রোমান।

ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্য, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুরের ফরিদ হাওলাদার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। বৃহস্পতিবার রাতে স্বজনরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সাদিয়া খায়ের, সিনিয়র স্টাফ নার্স কাজী কামাল হোসেন।

ফরিদ হাওলাদারের মেয়ে শান্তা বেগম বলেন, 'আব্বাকে হাসপাতালে ভর্তির পর উপস্থিত ডাক্তারদের কাছে অনেক কান্নাকাটি করেছি, তাঁরা যেন অপারেশনটা করেন! কিন্তু তাঁরা ধমকের সুরে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে বলেন। আরও বলেন, ওই ছেলেই (রোমান) তাঁর মাথায় সেলাইয়ের কাজ করতে পারবে।' পরে তিনি বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকায় নিয়ে যান।

স্কুলছাত্রকে দিয়ে রোগীর মাথায় সেলাই

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চিকিৎসক সাদিয়া খায়েরের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নার্স কাজী কামাল হোসেন বলেন, 'রোমান হাসপাতালে আমাদের সহকারী হিসেবে কাজ করে। ও কাজ করলে আপনাদের অসুবিধা কোথায়?'

অভিযুক্ত রোমান ওই ব্যক্তির মাথায় সেলাই করার কথা স্বীকার করে বলে, 'আমি ডাক্তার মইনুল ইসলামের সহকারী হিসেবে কাজ করি। কাটা-ছেঁড়া ও অপারেশনের জন্য হাসপাতাল থেকে ট্রেনিং নিয়েছি।' জনবল সংকটের কারণে মাঝেমধ্যেই জরুরি বিভাগে কাজ করতে হয় বলেও জানায় সে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব। ঘটনা সত্য হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'