ডিগ্রি কলেজের ৩য় কোটার ১৩ শিক্ষকসহ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৪৩ শিক্ষককে এমপিও সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) এক রায়ে এ নির্দেশ দেন।
রীটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৪৩ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও তারা সরকারি বেতনের অংশ এমপিও বঞ্চিত ছিলেন। তাই শিক্ষকরা এমপিও পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে বিভিন্ন সময়ে ৪টি রীট পিটিশন করেন। বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত শুনানী শেষে রীটকারীদের এমপিও দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রায়ের ফলে ৩য় কোটায় নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও পাওয়ার পথ সুগম হলো।
ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া আরও জানান, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ) শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান ও জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা অনুযায়ী বেতন প্রদান করে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও প্রদানে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকা স্বত্ত্বেও তাকে এমপিও প্রদান করা হয়নি।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও এমপিও না পেয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন তারা। হাইকোর্টে রিটকারীরা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট আর্দশ মহিলা বিদ্যালয়ের প্রভাষক আলী আশরাফ, ধারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান, বীমপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান, ময়দানদীঘি দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক তানিয়া সুলতানা করিমুন্নেছা, হাফিজ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আব্দুস সবুর, নোমান মাহমুদ, মো. গোলাম রব্বানী, আতিকা বাসরী, জিল্লুর রহমান, আতিক পারভেজ ও মুন্সিগঞ্জ গালর্স হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক গাজী আসিফ আফসার রিয়েল।