উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ সোমবার থেকে পাঠদান বন্ধসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ মে) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি’ এই স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকদেরও উপস্থিত হতে দেখা যায়।
এর আগে, রোববার (১১ মে) শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিভাগের শিক্ষকদের কাছে চিঠি প্রদান ও রাতে মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সকল শিক্ষকদের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছি। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তারা আরও বলেন, শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, পরিবহন সেবা, লাইব্রেরি ও মেডিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি সেবা এর আওতামুক্ত থাকবে। তবে অব্যাহত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের শাটডাউন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আন্দোলনের কারণে আমাদের আর পিছনে ফিরে যাওয়ার ন্যূনতম জায়গা নেই। তাই দাবি আদায়ের এই আপসহীন লড়াইয়ে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আমরা আজ ১২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করেছি।
আন্দোলনকারী সুজয় শুভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। উপাচার্য যদি অতিসত্বর পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরিমনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।উল্লেখ্য, চলমান কর্মসূচিতে ক্যাম্পাস ও মহাসড়কে মশাল মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ, ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি, উপাচার্যের বাসভবনে তালা, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।