এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে ঢুকে হবু শিক্ষকদের তথ্য চুরি, ভুয়া আবেদনের ছড়াছড়ি | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে ঢুকে হবু শিক্ষকদের তথ্য চুরি, ভুয়া আবেদনের ছড়াছড়ি

গতকাল সোমবার বগুড়া থেকে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একজন সহকারী পরিচালক । তিনি জানান, যারা ভুয়া আবেদন করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

#শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে লগইন করে ভয়ংকর জালিয়াতি করেছে একদল প্রতারক। সবচেয়ে বেশি প্রতারণা করা হয়েছে আরবি বিষয়ের প্রভাষক ও লাইব্রেরিয়ান পদের ক্ষেত্রে। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের তথ্য দিয়ে আবেদন করে টাকাও জমা দিয়ে ফেলেছে প্রতারকরা। এ অবস্থায় উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারছেন না। আগামী বৃহস্পতিবার আবেদনের শেষ তারিখ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের প্রায় ৭শ হবু শিক্ষক। তবে, এনটিআরসিএর দাবি সংখ্যাটা মাত্র ৭২ জন।

বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করেছে এনটিআরসিএ। গত সোমবার বগুড়া থেকে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একজন সহকারী পরিচালক। তিনি জানান, যারা ভুয়া আবেদন করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৪ জুন। যারা উত্তীর্ণ বা চাকরির সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠান পছন্দ করে আবেদন দাখিলের জন্য ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। গত ২২ জুন থেকে আবেদন শুরু করেন উত্তীর্ণরা। নিয়ম অনুযায়ী উত্তীর্ণরা তাদের রোল, ব্যাচ ও জন্মতারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদন দাখিল করার কথা। কিন্তু তা করতে গিয়ে আবেদন করতে পারছেন না। তারা দেখতে পান, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে অন্য কেউ আগে থেকেই আবেদন করে ফেলেছে।

জানা গেছে, যাদের রোল, জন্মতারিখ ও ব্যাচ ব্যবহার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একজন কুমিল্লার লাকসামের প্রভাষক রহমত আলী। তিনি ৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। রহমত সাংবাদিকদের জানান, তাঁর তথ্য দিয়ে অন্য একজন আবেদন করেছেন। যার সঙ্গে তাঁর ছবি, নাম ও স্বাক্ষরের মিল নেই। তাঁর মতো ৭ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর অপর একজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন। হবু শিক্ষকদের আবার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

এদিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা সনদের দাবিতে আন্দোলন করছেন। সনদ দেয়ার জন্য তারা হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। আদালত তাদের রিট মঞ্জুর করেছেন, আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান রিটের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। অনুত্তীর্ণরা এই আপিলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে গতকাল সোমবার ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদের দাবিতে আন্দোলন অযৌক্তিক মনে করেন ৫১ শতাংশ মানুষ। দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে অংশ নেয়া বাকি ৪৮ শতাংশ মানুষ অবশ্য এমন দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন। এ ছাড়া ১ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মতই দেননি।

#শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন