স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা, পুলিশের বাধা | মেডিক্যাল নিউজ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা, পুলিশের বাধা

বুধবার (১২ মার্চ) দুপরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এমবিবিএস বিডিএস ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারেরা।

#মেডিক্যাল #শিক্ষার্থী

এক দফা পূরণ হলেও বাকি ৪ দফা দাবি আদায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন স্বাস্থ্য ক্যাডার ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য ক্যাডারদের এই পদযাত্রা দোয়েল চত্বরে যেতেই প্রথম বাধা দেয় পুলিশ। তবে সেখান থেকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই সামনের দিকে এগুতে থাকেন তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এমবিবিএস বিডিএস ইন্টার্ন চিকিৎসক, মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারেরা।

এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ কর্মসূচিতে চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।

চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি হলো

১. এমবিবিএস-বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এ ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সব মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

#মেডিক্যাল #শিক্ষার্থী