চারিদিকে হাতুড়ির ঠক ঠক আওয়াজ, কাঠ করাতের ঘষাঘষি সঙ্গে রং তুলির আচর। কেউ আঁকছেন আলপনা আবার কেউ সাজাচ্ছেন মণ্ডপ। কাঠালপাতা, কুলো, ডালা, চটের বস্তায় নানা আলপনা একে পূজার মঞ্চ সাজাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন চিত্রই দেখা গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আগামীকাল সোমবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের এসব আয়োজন। প্রতিবছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরস্বতী পূজা উদযাপনে ৩৯ টি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, শাস্ত্রমতে, সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সংস্কৃতি ও শুদ্ধতার দেবী। শুভ্র বসন, হংস-সম্বলিত, পুস্তক ও বীণাধারিণী এই দেবী বাঙালির মানসলোকে এমন এক প্রতিমূর্তিতে বিরাজিত, যেখানে কোনো অন্ধকার নেই, নেই অজ্ঞনতা বা সংস্কারের কালো ছায়া।
পূজা উদযাপন বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, আমাদের হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম পূজা হল সরস্বতী। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেরও আমরা এ পূজা পালন করছি নাট্য কলাবিভাগ থেকে। কালকে সকাল থেকে পূজা শুরু হবে। আমরা জ্ঞান বৃদ্ধি, বিদ্যার পরিবেশ এবং মানসিক স্বাস্থ্য যেনো ঠিক থাকে সেই প্রার্থনা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এবার আমাদের সব বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও ছাত্রী হল মিলে ৩৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। জগন্নাথ হলের পরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি মণ্ডপে পূজা হয়। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র প্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রক্টরিয়াল বডিসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও থাকবে। আশা করছি খুব সুন্দরভাবে পূজা উদযাপিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, সকাল থেকে পূজা শুরু হবে। আমরা সদা তৎপর আছি। রাত আটটার মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পন্ন হবে।