বৈষম্যহীন ও বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষা নিশ্চিতের দাবি শিক্ষকদের | ফিচার নিউজ

বৈষম্যহীন ও বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষা নিশ্চিতের দাবি শিক্ষকদের

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্মচারী নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও চাকরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।’

#কলেজ #বাকবিশিস

বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, সর্বজনীন ও বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষা নিশ্চিত করনে ১১ দাবি বাস্তবায়ন চেয়েছে বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্মচারী নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও চাকরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি বরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছেন তারা। এর আগে বরিশাল নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষকরা।

বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা বলেন, দ্রুত দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বরিশাল জেলার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মো. জলিলুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

১১ দফা দাবিগুলোর মধ্য রয়েছে, সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও শতভাগ উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাভাতা দেন, অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ১১টি বিষয়ের ওপর গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের ন্যায় শিক্ষা বিষয়ের ওপরও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ বাতিল করে আগের মতো সহকারী অধ্যাপকের পদ চালু করা ও বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করা।

এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো অবসর সুবিধা করা এই বিধান না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর তহবিলের টাকা দেয়া নিশ্চিত করা, বেসরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মতো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করা, শিক্ষাপ্রশাসনে বেসরকারি শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন করা, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগও শিক্ষক নিয়োগের ন্যায় এনটিআরসিএ বা অন্য যেকোনো বিকল্প শিক্ষক নিয়োগ, কমিশনের মাধ্যমে করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, লাঞ্ছনা ও চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন দেয়া।

#কলেজ #বাকবিশিস