মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্টার করুন

মন্তব্যের তালিকা

Tabiatkowser, ০৩ জুলাই, ২০২২
তাহলে জনাব ফখরুল ইমাম কি আসল কথার সাথে বশ্যতা স্বীকার করলেন নাকি তিনি বলেছেন যে, বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইমারিতে আছে সেখানে ‘সবাই মিলে কাজ করি’ শিরোনামে মহানবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ছিল সেটা বাদ দিয়েছে। তৃতীয় শ্রেণিতে খলিফা হযরত আবু বকর শিরোনামে একটা সংক্ষিপ্ত জীবনী সেটা বাদ দিয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে হযরত ওমর শিরোনামে একটা সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে একটা বিদায় হজ নামে নজিবীর জীবনী ছিল সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বই’ নামে একটা কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যেটা ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘লাল গরু’ নামে একটি ছোঠ গল্প আনা হয়েছে যেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মতো, তাই জবাই করা ঠিক নয়। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ। আসলেই বইয়ের পাঠ শিরোনামগুলো স্পষ্টতই হিন্দুত্ববাদ ছাড়া আর কিছুই নয়।
Tabiatkowser, ০৩ জুলাই, ২০২২
এছাড়া সপ্তত শ্রেণিতে শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ‘লালু’ নামক একটা গল্প অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালী পুজা ও পাঠা বলীর কাহিনী। এগুলো কীসের আলামত? মুসলিম কোন ধর্ম কিংবা ধর্মের লোককে পার্থক্যের চোখে দেখে না। কিন্তু হিন্দুদের ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য নেই বললে চলে। যদি না হয় তাহলে বিগত এনসিটিবির চেয়ারম্যান এর সময়ে সেরূপ হল কেন তাও একবার ভেবে দেখা দরকার। পূর্বের পাঠ্যবই এর মধ্যে যা ছিল তা বাদ দিয়ে বর্তমান পাঠ্য বইয়ে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কি আদর্শ শিখবে সেটিও একবার ভেবে দেখা দরকার। কেননা আমরা হিন্দু মুসলিম এর মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই। তবে একটা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে অন্য একটা সংস্কৃতি গুরুত্ব দিবেন সেটা এদেশের ৯০% বেশি মুসলিম তা কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয়কে ভেবে দেখতে হবে।