রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ২৩ শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। পরে আবার নেওয়া পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে পারেনি তারা। এ কারণে কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় যোগাযোগ করছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায় , ৩০ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট ফর্ম (ক্লাস) শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নথি থেকে তাদের নাম কাটা হয়েছে। আসনও শূন্য হওয়ার কথা। ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিরই ৯ জন। এ ছাড়া সপ্তম শ্রেণিতে একজন, বাকিরা নবম শ্রেণির। নাম প্রকাশ না করে নবম শ্রেণির এক অভিভাবক বলেন, করোনাকালে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলেছে। কিন্তু সরাসরি যে সংখ্যক ক্লাস হয়েছে, তাতেও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ হয়নি। ৫৬ জনের মধ্যে প্রথম পরীক্ষায় ৪১ জন ফেল করে। এরপর ফের পরীক্ষা নিলে ১৩ জন ফেল করেছে। মূলত ঠিকমতো লেখাপড়া না করায় এমন হয়েছে। এর দায় যদি শিক্ষার্থীর থাকে, তাহলে স্কুলেরও।
অভিযোগ নিয়ে আসা আরেক অভিভাবক বলেন, আসলে স্কুল বা শিক্ষার্থী কারওই এই দায় না দিয়ে এখন ঠিকমতো পড়াশোনা হওয়া দরকার। এ কাজটি করবে স্কুল। কিন্তু যে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।
প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তায়েফ উল হক। যোগাযোগ করে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি।