অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন বন্ধসহ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ ইদ বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। দাবি মানা না হলে ইদের পরে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন সমিতির নেতারা। শুক্রবার (১৭ মে) সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিটিএর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া। সভা সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কাওছার আলী সেখ। সভায় সমিতির নেতারা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন বন্ধসহ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ ইদ বোনাস প্রদানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য পুনরায় একটি আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতিবাদে শিক্ষা সচিব ভুল স্বীকার করে উক্ত আদেশটিও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপর গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে অবসর সুবিধা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন না করার অভিমত পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল শিক্ষক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সহ মোট ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত আদেশ প্রদান করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা আন্দোলন করে আসছেন।
তাই সভায়, শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের লক্ষ্যে ইদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশ বাতিলের দাবি জানান সমিতির শিক্ষক নেতারা। এছাড়া দাবি মানা না হলে ইদের পরে কঠোর কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিটিএ নেতারা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, উপদেষ্টা রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান প্রামানিক, আজাদ আবুল কালাম, হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী, রঞ্জিত কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, মো. আনোয়ার হোসেন, সুনীল বরণ হালদারসহ প্রমুখ।