ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে তিন বছরের বেশি সময় কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি, অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা কর্মচারীদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারসহ ১৪ দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন।
দুই একদিনের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আল্টিমেটাম দেয়া হবে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন কর্মচারীরা। ইউনিয়নের নেতারা মনে করেন, কর্মচারীদের কারণে নয়, অদ্বৈত রায়ের কারণে ঢাকা বোর্ড অনেক পিছিয়ে গেছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যত দোষ নন্দ ঘোষের” মত দুইজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ বিতর্কিত অদ্বৈতকে শুধু বদলি করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুলাই) ঢাকা বোর্ডের পুরাতন অডিটরিয়ামে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, অদ্বৈত রায়ের কারণে নিরীহ দুই কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্মচারীরা কোনো অবৈধ কাজ করেনি বলে দাবি করেন তারা। অদ্বৈতর কারণে ঢাকা বোর্ড অনেক পিছিয়েছে। অথচ তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অদ্বৈতর বদলির আদেশের পরও কীভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাকে কে শেল্টার দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান কর্মচারী নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: বাবুল আকন বলেন, দাবি দাওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো আপোস করবো না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে মাঠে নামতে বাধ্য হবো।
শিক্ষা বোর্ডের অতি গুরুত্বপূর্ণ পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকে প্রেষণে এসে বছরের পর বছর কর্মরত থাকা একজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে কর্মচারী ইউনিয়নের এ নেতা বলেন, “ওই একজন ব্যক্তি আমাদের ক্ষতি করেছে। তাকে বিদায় করে দিতে বলেছি। অথচ তাকে বিদায় করা হয়নি। তার জন্য আমাদের দুই কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
সভাপিত আরও বলেন, স্কুল-কলেজের স্বীকৃতি পাঠদানসহ বোর্ডের কাছ থেকে মন্ত্রণালয় যে কাজগুলো নিয়ে গেছে, সেগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। বোর্ড একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বোর্ডের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে দিতে হবে।
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: জালাল উদ্দিন বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালনে আমরা পিছপা হবো না। গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ এও (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) এবং পিও (পার্সোনাল অফিসার) বাস্তবায়ন, বোর্ডের জরাজীর্ণ কোয়ার্টার ভেঙ্গে একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা বোর্ডে একজন চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আলী, ফিরোজ আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া, মো: সুলতান মাহমুদ সবুজ, জাকির হোসেন, এনামুল হক ভুঁইয়া, ফরহাদ হোসেন,,কাজী আবদুর রহিম, মাহমুদ হাসান সম্রাট প্রমুখ।
আরও পড়ুন : পাঁচ লাখ টাকায় জিপিএ ৫ বিক্রি করেন শিক্ষা ক্যাডারের অদ্বৈত কুমার