ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়াইবাড়ি কামিল মাদরাসার গভর্নিং কমিটির বিরুদ্ধে। এতে মাদরাসার কার্যক্রম স্থবির হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন ছাত্র ও অভিভাবকরা।
জানা যায়, গত বছর উপজেলার আড়াইবাড়ি ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদী মারা যান। ওই পদে গত ১১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হয়।
এতে প্রথম হয়েছেন মুফতি আমিনুল ইসলাম নামে একজন প্রার্থী। চূড়ান্তভাবে আমিনুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিলেও গভর্নিং বডির সভাপতি ও একজন সদস্য নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন। বিতর্কিত একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে মুফতি আমিনুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান থেকে বিরত রেখে পুলিশি তদন্ত চাওয়া হয়।গভর্নিং কমিটির সভাপতি আনিসুল হক ভুঁইয়া ও অপর সদস্য মোশারফ হোসেন ইকবাল দাবি করেন, তারা থানার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন আমিনুল ইসলাম জামায়াতের রুকন। তবে এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মুফতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো সময় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এটা মিথ্যা। আমাকে অপবাদ দিয়ে নিয়োগ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।\হকসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, গভর্নিং কমিটি ও প্রশাসনের অনুরোধে আমরা মুফতি আমিনুল সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্নিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
গভর্নিং কমিটির অন্যতম দাতা সদস্য ও বিজিএমইএ নির্বাহী কমিটির পরিচালক সিআইপি বদিউল আলম বলেন, আসলে এটা কিছুই না। বর্তমানে যারা মাদরাসার একাডেমিক দায়িত্বে আছেন তাদেরই দুরভিসন্ধি।
মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন জানান, শিক্ষকরা আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করেননি। নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন করবে নির্বাচনী কমিটি ও গভার্নিং কমিটি। তবে তারা জেনেছেন নির্বাচনী পরীক্ষায় আমিনুর ইসলাম প্রথম হয়েছেন।