ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মীর মো. মোশারফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অধিদপ্তরে সংযুক্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারকে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে উপস্থিত থেকে তদন্ত সম্পন্ন করবেন বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।
জানা গেছে, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মীর মো. মোশারফ হোসেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, ৭ জুন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মীর মোশারফ হোসেন সরকারি কাজ শেষে নিজ কর্মস্থলে রওনা হন। বিকেল ৩টার দিকে কর্মস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত ক্যাশ সরকার বি এম হারুনর রশিদ অধ্যক্ষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ঢাকায় ফেরত যাওয়ার জন্য জোর করে গাড়িতেও তুলে দেয়া হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে সংযুক্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। জেসমিন আক্তার মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে উপস্থিত থেকে তদন্ত সম্পন্ন করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে অভিযুক্ত ক্যাশ সরকারকে বি এম হারুনর রশিদ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বদলি করা হয়েছে। একই সাথে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের আরও ১২ কর্মচারীকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়।