নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠানের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের তালতলি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আ ক ম রেজাউল করিম বাদি হয়ে পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আ ক ম রেজাউল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ইছাখালি ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার পরিচালনা কমিটি নিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন ধরে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। সেই সুযোগে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রহিম পাঠান মাদরাসার রশিদ বই নিয়ে গিয়ে কোনো হিসেব দিচ্ছিলেন না। এসব তার সঙ্গে একাধিকবার মনোমালিন্য হয়।
তিনি আরও জানান, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠান বিশৃঙ্খলা করার জন্য একটি নাটক সাজিয়ে সোমবার সকালে তার ছেলে (এই মাদরাসার দাখিল ১০ম শ্রেণির ছাত্র) মেহেদী পাঠানকে মাদরাসায় পাঠান। এ দিন মাদরাসায় অনুষ্ঠিতব্য অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরুর প্রায় ১০ দিন আগে মাদ্রসার বেতন, সেশন চার্জ ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার নোটিশ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার দিন (সোমবার) সকালে পরীক্ষা দেয়ার জন্য অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে মেহেদী পাঠান। সেসময় মেহেদীকে তার বাবাকে টেলিফোন দিয়ে আনার কথা বলেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। এর কিছুক্ষণের ভেতরেই পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠান মাদরাসায় এসে অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করেই দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এরপর মাদরাসার বাইরে আগে থেকেই উৎপেতে থেকে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম এক সহকারী শিক্ষকের মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে আব্দুর রহিম পাঠান তার গতিরোধ করে অধ্যক্ষকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে থাকেন। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আব্দুর রহিম পাঠান চলে যান।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম পাঠানের সঙ্গে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধর করার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পরীক্ষার দিন আমার ছেলেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করার জন্যই মোটরসাইকেল থামাতে বলেছিলাম। ওনাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।