রাজধানীর মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবৈধ অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন দায়িত্ব হারাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বৈধ কমিটিও নেই। তাই অবৈধ অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলেছে ঢাকা বোর্ড। তদন্তে ফরহাদ হোসেনের অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরিয়ে প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিঠিটি প্রকাশ করেছে ঢাকা বোর্ড।
বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, মিরপুরের মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের চাকরির মেয়ার ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২ জুলাই পূর্ণ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভায় তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। বোর্ড থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের মতামত অনুযায়ী অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সঠিক ও বিধি সম্মত হয়নি। নথীর তথ্য অনুযায়ী ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে থেকে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কমিটি নেই। নিয়মিত গভর্নিং বডির চলমান না থাকায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিধিমোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা বোর্ডের তদন্তে ফরহাদকে অবৈধভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসে। ফরহাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২ জুলাই তার বয়স ষাট বছর পূর্ণ হয় তার। বিধান অনুযায়ী তখনই তার দায়িত্ব ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্তু দায়িত্ব না ছেড়ে তিনি অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে আছেন। ঢাকা বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিধান ছিলো না। কিন্তু তাকে অবৈধভাবে বয়স ষাট বছর হওয়ার পরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে ‘অধ্যক্ষ’ ফরহাদের হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তেও ফরহাদের অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি উঠে আসে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি মনে করে, ফরহাদ হোসেনের প্রধান শিক্ষক থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বিধিসম্মত নয়। কারণ, তার বয়স ৬০ বছর অতিবাহিত হয়েছে।জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে কোনো অবস্থাতেই পুনর্নিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ জন্য নীতিমালা মেনে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের সুপারিশ করলেও তা মানেনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।