আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিএ পাসের সার্টিফিকেট জালের পর ওই কলেজের সভাপতিরও বিএ পাসের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ আমতলীতে পৌঁছলে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। এর আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষের বিএ পাসের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
জানা যায়, আমতলী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মাকসুদা আকতার জোসনা বরগুনা জেলার আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজে ১২ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি পদে নিয়োগ পান। বিধি অনুযায়ী কমপক্ষে বিএ পাসের সার্টিফিকেট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাকসুদা আকতার জোসনাকে সভাপতি পদে নিয়োগ দিলেও তার সার্টিফিকেট নিয়ে সন্দেহ হয়। জোসনার সার্টিফিকেট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যাচাই-বাছাই করে ১৫ সেপ্টেম্বর এক অফিস আদেশ দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা।
আদেশে উল্লেখ করেন, বরগুনা জেলার বকুল নেছা মহিলা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাকসুদা আকতার জোসনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করা বিএসএস সনদটি যাচাই-বাছাই করে তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। বর্তমান অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়ার শিক্ষার সনদ যাচাই, কলেজের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় সরেজমিন পরিদর্শনের লক্ষ্যে বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্র, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে মনোনয়ন দিয়েছে। আমতলী বকুল নেছা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়াও বিএ পাস না করে এমএ পাসের সার্টিফিকেট দিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে ওই কলেজে চাকরি করে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন। পরে ফোরকান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তদবির করে মাকসুদা আকতার জোসনাকে আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজের সভাপতি করে আনার পর ১৫ জুলাই সভাপতির ক্ষমতায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সরিয়ে নতুনভাবে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন।