অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রন্থাগারের বই বিক্রির অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রন্থাগারের বই বিক্রির অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি |

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের গ্রন্থাগারের বিপুল পরিমাণ পুরনো ও মূল্যবান বই গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায়  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গ্রন্থাগারে অনেক পুরনো ও মূল্যবান বই ছিল। গত ২৩ জুন বিকেলে কলেজের গ্রন্থাগারের এসব পুরনো ও মূল্যবান বই অনেকটা গোপনেই বিক্রি করে দেন অধ্যক্ষ।

উপজেলার কামারপুকুর এলাকার পুরনো কাগজ ব্যবসায়ী মো. আখতারুল ইসলামের কাছে এক টনেরও বেশি বই বিক্রি করা হয়। ৩০ টাকা কেজি দরে বইগুলো কিনে একটি পিকআপে করে নিয়ে যান তিনি। পরে গ্রন্থাগারের বই বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুরনো বইপত্র বিক্রির আগে শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়ার কথা। কিন্তু কলেজের মূল্যবান বই বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক তাঁর পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীদের মাধ্যমে অতি গোপনে বইগুলো বিক্রি করে পুরো টাকা পকেটস্থ করেছেন।

এ বিষয়ে কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক ইবনে ফজল ৮৫০ কেজি পুরনো বই বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে উল্লিখিত পরিমাণ বই ১৮ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ’

গতকাল শনিবার অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক গ্রন্থাগারের পুরনো বই বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তবে বিক্রি করা বইয়ের পরিমাণ জানাতে পারেননি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘গ্রন্থাগারের জন্য নতুন বই কেনার উদ্দেশ্যে পুরনো সিলেবাসের ও নষ্ট হয়ে যাওয়া কিছু বই বিক্রি করে দেওয়া হয়। ’ [inside-ad-]

শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত অভ্যন্তরীণ একটি কমিটির মাধ্যমে বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ। কিন্তু তাত্ক্ষণিকভাবে ওই কমিটির আহ্বায়ক কিংবা সদস্যদের নাম বলতে পারেননি তিনি।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067110061645508