ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তাজুল ইসলাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজে চাকরি দেয়ার নামে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জরিনা বেগম বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ বেগমের কাছে লিখিত আবেদন করলে গত ২৬ জুলাই ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কমিটির প্রধান। অন্য দুই সদস্য হলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তৌহিদ ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অধ্যক্ষ গোপনে সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত তাজুল ইসলাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজে সহকারী গ্রন্থাগারিক এবং অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য একটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক দরিকান্দি ইউনিয়নের গোপালনগরের জরিনা বেগমের মেয়ে হামিদা বেগম আবেদন করে। তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন আড়াই লাখ টাকা ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য জাকারিয়া খোকন ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আরেকজনকে চাকরি দেন তারা। অথচ হামিদা বেগমের টাকা ফেরত দেয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার যখন অপারেশন হয় আমি তখন জরিনা বেগমের কাছ থেকে ধার বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। এই টাকা কিছুদিন আগে ফেরতও দিয়েছি। তার মেয়েকে চাকরি দেওয়া বাবদ কোনো টাকা-পয়সা আমি নেইনি। জাকারিয়া খোকনকে টাকা দিয়েছে কিনা সেটাও আমি জানি না।’
এ বিষয়ে ইউএনও সৈয়দা শমসাদ বেগম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে গত ২৬ জুলাই তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাব। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’